ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, মেমারি: পূর্ব বর্ধমানের মেমারি কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন কলেজের এক বর্তমান শিক্ষিকা। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে সবার সামনে তাঁকে অপমান ও যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়। প্রতিবাদ করতেই মঞ্চে চুলের মুঠি ধরে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি। শিক্ষিকার অভিযোগ, ওই ঘটনার পর থেকেই কলেজের ভিতরে তাঁকে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। গর্ভাবস্থায় ছুটি না দেওয়া, মানসিক চাপের কারণে শারীরিক অসুস্থতা এবং পরবর্তী সময়ে গর্ভপাত (মিসক্যারেজ)—সবকিছুর জন্যই তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অত্যাচারকে দায়ী করেছেন।

শিক্ষিকার আরও অভিযোগ, বিভাগীয় প্রধান নির্বাচন থেকে শুরু করে ক্লাস নিতে না দেওয়া, নম্বর প্রদান না করা—বিভিন্ন অনিয়ম ও বৈষম্যপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে দিনের পর দিন তাঁকে ক্রমাগত হয়রানি করেছেন প্রিন্সিপাল।
শিক্ষিকা জানান, সেইসময় মেমারি থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এরপর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত মেমারি থানাকে এফআইআর দায়ের ও তদন্তের নির্দেশ দেয়। অবশেষে গত ২২ নভেম্বর ২০২৫ মেমারি থানায় এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই মামলায় মেমারি কলেজের সদ্য প্রাক্তন প্রিন্সিপাল দেবাশীষ চক্রবর্তী ও অধ্যাপক রাহুল ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই অমানবিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আলোড়ন ছড়িয়েছে।









