ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: দোকানে আটা বিক্রি করতে আসার অজুহাতে আগের রাগ বশতঃ ক্রেতা খোদ দোকানদারকেই মাথায় লাঠি দিয়ে মেরে হত্যা করলো দোকানদারকে। বুধবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় রীতিমত আলোড়ন ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় দেওয়ানদিঘি থানার বাঘার ১ পঞ্চায়েতের মাহিনগর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটা নাগাদ দেওয়ানদিঘী থানার অন্তর্গত বাঘার ১ পঞ্চায়েতের মাহিনগর গ্রামের বাসিন্দা সূর্যনারায়ণ মন্ডল ওরফে গান্ধী (৭১বছর) তার বাড়ির পাশেই একটি মুদির দোকান ছিল, যেটা প্রতিদিনের মতো আজকেও খুলেছিল।

ওই গ্রামেরই প্রতিবেশী সুশান্ত মাঝি (বয়স ৫৩ বছর) তার দোকানে আটা বিক্রি করতে এসে দোকানদার সূর্য নারায়ণ বাবুর সাথে ঝামেলা শুরু করে। পূর্ব রাগবশত পরিকল্পনা মাফিক একটা বাঁশের লাঠি নিয়ে এসে দোকানদার সূর্য নারায়ন মন্ডলের মাথায় এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। দোকানদার সূর্য নারায়ন মন্ডল রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে থাকলে এবং লোকজন আসছে দেখে ঘাতক সুশান্ত মাঝি ঘটনাস্থল থেকে ছুটে পালিয়ে যায়।
এরপর সূর্য নারায়ন বাবুর ছেলে ও স্ত্রী এবং প্রতিবেশী মিলে তাকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়। এই খবরটি পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং সেখানে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করে। পরবর্তীতে পুলিশ জানতে পারে, গ্রামেরই একজন প্রতিবেশী যার নাম সুশান্ত মাঝি (বয়স ৫৩ বছর) তার সাথে দোকানে আটা ক্রয় বিক্রয় নিয়ে ঝামেলা হয় দোকানদারের। সেজন্য সে তার মাথায় বাঁশের লাঠিতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এই খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে দেওয়ানদিঘী থানায় নিয়ে আসে। আটক সুশান্ত মাঝি থানাতে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে নিজে সত্যনারায়ণ মন্ডল ওরফে গান্ধী মন্ডলের মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। এরপরই সত্যনারায়ণ বাবুর ছেলে রাম নারায়ণ মন্ডল দেওয়ানদিঘী থানাতে এসে ঘটনার বিবরণ সহ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যার ভিত্তিতে দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে আটক করার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে।









