---Advertisement---

স্কুলেই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে, উদ্ধারে গিয়ে ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ, গ্রেপ্তার শিক্ষক সহ ১১

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: নাবালিকা ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই শিক্ষকের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে তুলকালাম কান্ড বাঁধালো ছাত্রীর পরিবারের লোকজন সহ গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার উত্তেজিত গ্রামবাসীরা স্কুলে জড়ো হয়ে শিক্ষকের উপর চড়াও হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে পুলিশের উপরে। পুলিশ কে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। ভাংচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের আমরাল গ্রামের আমরাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন ওই স্কুলেরই এক শিক্ষক, যার নাম মহাদেব কুণ্ডু। শিক্ষকের বাড়ি ইন্দাস থানার অন্তর্গত কুশমুড়ি গ্রামে। ঘটনার জেরে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ক্লাস চলাকালীন ওই শিক্ষক তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন বলে ওই ছাত্রী তার মা-বাবাকে ও প্রতিবেশীদের জানায়। বৃহস্পতিবার স্কুল খোলার পরেই আমরাল গ্রামের গ্রামবাসী ও পরিবারের মানুষজন একত্রিত হয়ে ওই স্কুলে পৌঁছান এবং অভিযুক্ত মাস্টারমশাইয়ের উপর চড়াও হন।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খণ্ডঘোষ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপরই  পুলিশের সাথে গ্রামবাসীদের বচসা বেধে যায়। শুরু হয়ে যায় দু পক্ষের ধস্তাধস্তি। স্কুলের ভিতর থেকে পুলিশ ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ ভ্যানে করে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবার সময় ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের উপর ইট বৃষ্টি শুরু করে দেয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুলিশ বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে  অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ থানায় নিয়ে আসেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

গ্রামবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষক যেন কোনদিন কোন জায়গায় চাকরি না করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে সরকার ও প্রশাসনকে। যদিও ঘটনার ব্যাপারে ছাত্রীর পরিবার সহ ওই ছাত্রী কোনরকম ভাবেই মুখ খুলতে নারাজ। বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে খন্ডঘোষ থানার পুলিশ মোট ১০ জন গ্রামবাসীকে আটক করে। যার মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুজন মহিলা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার খন্ডঘোষ থানার পুলিশ আমরাল গ্রামের স্কুলে পৌঁছালে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর ইট বৃষ্টি সহ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের কাজে বাধা এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অপরাধে ওইদিন গভীর রাতে দশ জনকে আটক করে। শুক্রবার ধৃত ১০ জন সহ অভিযুক্ত শিক্ষককে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।

See also  অজান্তেই কি আমরা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খেয়ে চলেছি? ৭জুন বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের আগে পর্যবেক্ষণ
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---