ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমান: দেরিতে হলেও যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় তৎপর হলো রেল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফুট ওভারব্রিজে ওঠার সিঁড়িতে পদপিষ্ট হয়ে বহু যাত্রী আহত হন। এই ঘটনায় রাজ্য তথা দেশ জুড়ে আলোড়ন ছড়ায়। রেলের উদাসীনতা ও গাফিলতির বিষয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এক জনের। ওই ঘটনার পর থেকেই রেলের পরিকাঠামো ও নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন যাত্রীরা।

পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে রেলের আধিকারিকরা বর্ধমান রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। আর তারপরই যাত্রী নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য রেলের তরফে একাধিক নিয়ম বলবৎ করা হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত টহল দিচ্ছেন জিআরপিএফ ও আরপিএফ। যাত্রীদের দাবি, “রেলের এই তৎপরতায় আমরা খুব খুশি। কিন্তু, এই তৎপরতা যদি আগেই দেখা যেত, তাহলে হয়তো দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।” যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্ল্যাটফর্ম ও ফুট ওভারব্রিজে মাইকিং করা হচ্ছে নিয়মিত। মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত রেলপুলিশ। বাঁশি বাজিয়ে সচেতন করা হচ্ছে যাত্রীদের।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, বর্ধমান–হাওড়া কর্ড লোকাল ছাড়বে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। বর্ধমান–হাওড়া মেন লাইন লোকাল ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। বর্ধমান–আসানসোল ও বর্ধমান–রামপুরহাট লোকাল ৬ ও ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। বর্ধমান–কাটোয়া লোকাল ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। এছাড়াও প্ল্যাটফর্মে ভিড় নিয়ন্ত্রণে যাত্রী ওঠানামার জন্য ফুট ওভারব্রিজের ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। ওভারব্রিজে যাত্রী দাঁড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম ও ফুটব্রিজে স্পেশাল টিম মোতায়েন রয়েছে, যারা মাইকিং করে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্ম ও সিঁড়ি ব্যবহারে দিকনির্দেশ দিচ্ছেন। পাশাপাশি স্টেশনের প্রতিটি অংশে নজরদারিতে রাখা হয়েছে সিসিটিভি। যাত্রীদের দাবি, রেলের নজরদারি এবং যাত্রী নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে হবে। একইসাথে স্বয়ংক্রিয় চলমান সিঁড়ি (এস্ক্যালেটার) যাতে নিয়মিত চালু থাকে সেবিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।









