ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, শক্তিগড়: ২১ জুলাই শহীদ দিবস ঘিরে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের শক্তিগড় ল্যাংচা হাবে শহীদ দিবসে তৈরি হওয়া যানজট এড়াতে এ বছর আয়োজন করা হচ্ছে ‘ল্যাংচা মেলা’। জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে শক্তিগড় থানা, ল্যাংচা ব্যবসায়ী সমিতি ও বর্ধমান দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে।


প্রতি বছরের মতো এবারও শহীদ দিবসের দিন শক্তিগড়ের আমড়ায় ল্যাংচা বাজারে ব্যাপক ভিড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত দু’দশক ধরে শহীদ দিবস উপলক্ষে কলকাতা যাওয়া ও আসার পথে শক্তিগড়ে ভিড় জমায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যে পালাবদলের পর সেই উন্মাদনা আরও বেড়েছে। কলকাতাগামী ও কলকাতা ফেরত যানবাহন ভিড় জমায় এখানে। রাস্তার দুই পাশে থামতে থাকে শতাধিক বাস ও ছোট গাড়ি। রাস্তায় তৈরি হয় তীব্র যানজট। প্রতি বছর পুলিশ প্রশাসনকে কার্যত হিমশিম খেতে হয়। ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটে।
এ বছর সেই পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসন আগেভাগেই সজাগ। সোমবার পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে ল্যাংচা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০ ও ২১ জুলাই ল্যাংচা হাবে নির্দিষ্ট জায়গায় ‘ল্যাংচা মেলা’-র আয়োজন করা হবে। বর্ধমানমুখী জাতীয় সড়কের বাঁদিকে ৪২ বিঘে ফাঁকা জমিতে বসবে এই মেলা। থাকবে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও। মূল সড়ক যাতে যানজটমুক্ত রাখা যায়, সেদিকে প্রশাসন নজর দেবে।
বর্তমানে শক্তিগড় ল্যাংচা বাজারে ৫৫টির মতো দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের আশা, এই উদ্যোগের ফলে ক্রেতারা স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারবেন, এবং ব্যবসাও স্বাভাবিক থাকবে। ল্যাংচা ব্যবসায়ী জাবেদ ইসলাম জানান, “গতবার ল্যাংচার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই এবার সকলকে স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্মত ল্যাংচা বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এই উদ্যোগের পিছনে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক। জেলা পুলিশ-প্রশাসন ছাড়াও বর্ধমান ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি, বড়শুল ১ নম্বর ও বৈকুণ্ঠপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। সব মিলিয়ে এবারের শহীদ দিবসের দিন শক্তিগড়ের ‘ল্যাংচা মেলা’ ঘিরে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।









