---Advertisement---

প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা কে থোড়াই কেয়ার, গলসিতে চলছে নদী থেকে বালি চুরি, ঘোর বর্ষায় শীত ঘুমে প্রশাসন!

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: একদিকে নিম্নচাপ, অন্যদিকে অবিরাম বর্ষার বৃষ্টি – এই অবস্থায় ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জলাধার থেকে যেমন নিয়মিত জল ছাড়া হচ্ছে, পাশাপাশি দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় জল ছাড়ার গতি বাড়ছে। ফলে দামোদর নদের জলস্তরও বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই গত ১জুলাই থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সমস্ত নদ নদী থেকে বালি তোলা বন্ধের নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে। তবু গলসি থানার গোহগ্রামের দামোদর নদের একাধিক জায়গা জুড়ে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বেপরোয়া ভাবে নদী থেকে বালি চুরি করে চলছে পাচার।

বিজ্ঞাপন

রাত বাড়লেই এলাকার কিছু বালি মাফিয়া নদী থেকে বালি চুরি করে এনে প্রথমে গোহগ্রামের নতুন বাইপাস সংলগ্ন এলাকা সহ সুন্দলপুর এলাকা ও রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক ট্রাক বালি মজুদ করছে। পরে ভোরের আলো ফোটার আগেই ট্রাক্টর থেকে শুরু করে ডাম্পারে সেই মজুদ বালি লোড করে পাচার করে দিচ্ছে। প্রতিদিন সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি করে গায়েব করে দিচ্ছে এই বালি চোরেরা বলে স্থানীয়দের অধিকাংশের অভিযোগ। 

দিনের পর দিন এই একই পদ্ধতিতে নদী থেকে বালি চুরি করে বেআইনি কারবার চালিয়ে গেলেও ব্লক ভূমি রাজস্ব দপ্তর কিংবা গলসি থানার পুলিশের কোনো হেলদোল নেই। বরং, এলাকায় সিভিক পুলিশ থেকে ভিলেজ সিভিক মোতায়েন থাকলেও, এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ তাদের মদতেই চলছে এই বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। পুলিশের অভিযানে আগেই আগাম খবর পৌঁছে যাচ্ছে এই বালি মাফিয়াদের কাছে। এলাকাবাসীদের আরো অভিযোগ, সম্পূর্ণ একটা সেটিংয়ের মাধ্যমে চলছে এই অবৈধ বালির কারবার। আর সেই কারণেই দিনের পর দিন স্থানীয় বালি মাফিয়ারা বেপরোয়া ভাবে কারবার চালিয়ে গেলেও কোনো রকম ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটছে না।

ফলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই বালি চোরেরা। অন্যদিকে সরকারি সম্পত্তি চুরি করে ফুলেফেঁপে উঠছে কিছু অবৈধ বালি কারবারিরা, একই সাথে সেই অবৈধ টাকার ভাগ পাচ্ছে আরেক পক্ষ বলে স্থানীয়দের একাংশের  অভিযোগ। বর্তমানে রাত বারোটা থেকে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত গোহগ্রাম সংলগ্ন দামোদর নদীর বোম ঘাট ঢাল, নন্দীর ঢাল, সোজা ঘাটের ঢাল, টেনি যাদব ঘাটের ঢাল থেকে অবাধে বালি লুট করে নতুন বাইপাস ও পাকা রাস্তার ওপর যে কাঁটাগুলি (ওয়ে ব্রিজ) ছিল তাদের সামনে বালি ফেলে রাতের অন্ধকারে চলছে অবাধে বাইরে বালি পাচার। এই বালির নেই কোনো চালান, নেই নদী থেকে বালি তোলার জন্য অনুমতি। সবটাই চলছে সম্পূর্ণ পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে সেটিংয়ের মাধ্যমে বলেই অভিযোগ। ফলে গ্রামের রাস্তা ঘাটের হাল বর্ষাতে বেহাল হয়ে পড়ছে। ভ্রুক্ষেপ নেই স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন থেকে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের। 

See also  বর্ধমান থেকে দুটি ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাপ সেল টার্টেল (কচ্ছপ) উদ্ধার
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---