ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: বর্ধমানে থেকে বান্ধবীদের সঙ্গে কালীপুজো দেখতে গিয়ে খোদ মা কালীর অঙ্গের সোনার অলংকার হাতিয়ে পালিয়ে এসেছিল গুণধর যুবক। ঘটনার পরই বাড়ির লোক পুলিশে অলংকার চুরির বিষয় জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই চোর কে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উদ্ধার করলো সমস্ত গহনা।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল মধ্যরাতে, যখন ঘড়ির কাঁটা বারোটা ত্রিশের ঘর ছুঁয়েছে, সেই মাহেন্দ্রক্ষণে মেমারি থানার অন্তর্গত দলুইবাজার গ্রামের জমিদার “ব্যানার্জি বাড়ির মা কালী পূজার” মণ্ডপ থেকে প্রায় দশ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে! পূজার রেশ কাটতে না কাটতেই এই দুঃসংবাদে যেন গোটা অঞ্চলে এক শীতল নিস্তব্ধতা নেমে আসে। খবর আসার সাথে সাথেই মেমারি থানার ওসি, আইসি পালসিট, সি আই বি এবং ডিএসপি মেমরির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জমিদারবাড়ির দেউড়িতে তখন শোক আর সন্দেহের এক মিশ্র পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পুলিশ তদন্তের গভীরে যেতেই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এক সন্দেহভাজন যুবকের নাম উঠে আসে— দেবজ্যোতি চৌধুরী (৩২), পিতা সুপ্রভাত চৌধুরী, যিনি কিনা বর্ধমানের খোশবাগানের বাসিন্দা। এই জমিদার বাড়িরই এক শরিকের বিশেষ বন্ধু। কিন্তু কীর্তিমান চোর ততক্ষণে এলাকা ছেড়েছে।এরপরেই অত্যন্ত দক্ষতা ও সতর্কতার সাথে সেই ‘সন্দিগ্ধ’ যুবককে দ্রুত থানায় আনা হয়।
এরপর দীর্ঘ জেরায় যুবকটি স্বীকার করে নেয় তার অপরাধ। নিছক লোভের বশে সে পবিত্র দেবী মূর্তির গহনা হাতিয়েছিল। তার জবানবন্দির পরই উদ্ধার হলো চুরি যাওয়া সমস্ত মহামূল্যবান অলঙ্কার। অপরাধীকে আজকেই বর্ধমান কোর্টে পেশ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ যেন এক নাটকীয় যবনিকা পতন, পুলিশি তৎপরতায় অপরাধী ধরা পড়ল এবং মা ফিরে পেলেন তাঁর হারানো বিভূষণ। পরিবার ও গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কালী পূজার পূণ্য লগ্নে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা হল।









